আমাদের প্রতিবেদক :
বাবুল মিয়ার বয়স ৪৫ বছর। পেশায় তিনি সিভিল এভিয়েশনের গাড়িচালক। এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক তিনি। থাকতেন বোনের বাসায়। দীর্ঘদিন যাবত মাদকাসক্ত হওয়ায় একাধিকবার রিহ্যাবে নিয়ে সুস্থ্য করে তোলার চেষ্টা করছিলো পরিবার। এবারও তাকে রিহ্যাবে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় পরিবার।
পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হলে সবার অজান্তেই আম গাছের মগডালে উঠে রশি ঝুঁলিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলো সে। এমন সময়ই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাবুলকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর আগে ঘটনাস্থলে বিমানবন্দর থানা পুলিশও উপস্থিত হয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো।
আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে কাওলা সিভিল অ্যাভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুর্মিটোলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. সফিকুল ইসলাম জানান, সিভিল এভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টারের পাশে বড় একটি আম গাছের ডালে মো. বাবুল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ওঠেন। তিনি ডালের সঙ্গে রশি বেধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। খবর পেয়ে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বাবুল মিয়াকে কৌশলে বুঝিয়ে গলার রশি খুলে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে বিমানবন্দর থানা পুলিশ এবং স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিমানবন্দর থানার এসআই মো. মাহবুব বলেন, বাবুল মিয়া সিভিল এভিয়েশনের গাড়ি চালক। তিনি মাদকাসক্ত। বর্তমানে সিভিল এভিয়েশন স্টাফ কোয়ার্টারে বোনের সঙ্গে থাকেন। মাদকাসক্ত হওয়ায় দুই বছর আগে তার স্ত্রীও তাকে ছেড়ে চলে যান। বাবুল মিয়াকে একাধিকবার রিহ্যাবে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। শুক্রবার সকালে তাকে রিহ্যাবে পাঠানোর জন্য পরিবার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তিনি যেতে চান না। পরে তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেন তার বোন। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানো হয় তাকে। এর কিছুক্ষণ পর তিনি একটি আম গাছে ওঠেন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে। আমরা খবর পেয়ে যাই। কিন্তু কিছু করতে পারছিলাম না। পরে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে তাদের সহায়তায় নামিয়ে নিয়ে আসি তাকে।
তিনি আরও বলেন, বাবুল মিয়াকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে এসেছি। পরিবারকে তার প্রতি আরও যত্নশীল এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
বাবুল মিয়ার ভাই মো. সেলিম জানান, তার ভাইকে মাদকমুক্ত করতে তারা চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারা পারছেন না।
0 মন্তব্য