ঢাবি প্রতিনিধি :
দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে ও সহিংসতার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আলোক প্রজ্জ্বলন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাষ্কর্যের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি।
আলোক প্রজ্জ্বলন কর্মসূচিতে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ সংগঠনটির পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।
পরে রাজু ভাস্কর্য থেকে মোমবাতি হাতে পদযাত্রার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
আলোক প্রজ্জ্বলন করে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, সব ধর্ষককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যারা ধর্ষক বা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করা হয়। এর ফলে যারা এই ধরনের মনমানসিকতা লালন করে তারা ভয় পাবে। একইসঙ্গে ধর্ষককে যাতে সমাজের নিকৃষ্ট প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি। পারিবারিকভাবে হোক বা সামাজিকভাবে হোক আমরা যাতে বয়কট করতে পারি। তাহলে তারা ভয় পাবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বারবার আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি, আমাদের শিক্ষার্থী বোনরা বা মা-বোনেরা যদি কোনোভাবে রাস্তায় তথাকথিত দুষ্টু, যারা ইভটিজিং করে তাহলে তারা যেন আমাদের জানায়। আমরা সেই ধর্ষক বা ইভটিজারদের ধরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেব।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আজকে আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে প্রোগ্রামটি পালন করছি। আগামীকাল সারাদেশে ছাত্রলীগের সব ইউনিট সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করবে। আমার বিশ্বাস করি, শুধুমাত্র কারো ওপর দায় বা ধর্ষণকার্য যখন রাজনৈতিক প্রলেপ দেয়া হয়, তখন কিন্তু ধর্ষকের কাছ থেকে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদিকে চলে যায়, ফলে সেই ধর্ষকের বিচার হয় না। কিছুদিন পর মানুষ তা ভুলে যায়। সুতরাং ধর্ষণকে প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের নৈতিক পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষকে সামাজিকভাবে সচেতন করতে হবে। যারা লাঞ্ছিত হচ্ছেন তাদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে এবং খুবই দ্রুত সময়ে অপরাধীদের ধরার ব্যবস্থা করতে পারি সেভাইে আমরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সংগঠনের বাইরে গিয়ে যারা ব্যক্তিগত উদ্যোগে সংগঠনের বিপক্ষে যারা কাজ করছে, তাদেরকে আমাদের সংগঠনের হিসেবে প্রচার করা, আমি মনে করি, এটা সংগঠনের উপরে একটা দায় বর্তানোর মনোভাব। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীটি ধর্ষিত হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়েটি মামলা করলে তারা মিছিল বের করেছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতা তাকে ধর্ষণ করেছে। সেই সংগঠন ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। আমরা কিন্তু কোনো ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়াচ্ছি না। যেই ধর্ষণ করুক, যেই অপরাধ করুক আমরা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছি। সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছি। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
0 মন্তব্য