নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
ধর্ষণ মামলায় এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আব্দুল কুদ্দুছ নয়ন রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পরিবহন বিভাগে কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার চরমঙ্গল গ্রামে।
এর আগে বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকার বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী এক নারী ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এবং তার দুইটি সন্তানও (১ ছেলে ও ১ মেয়ে) রয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পুলিশ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস নয়নের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠলে নয়ন প্রায় সময় তার বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এ অবস্থায় বিয়ের ব্যাপারে কথা বলবে বলে গত ৬ অক্টোবর বিকালে পুলিশ কনস্টেবল নয়ন তার বাসায় আসেন এবং জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ৭ অক্টোবর রাতে ওই নারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে নয়নের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগেও নয়ন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন এবং পরবর্তীতে বিয়ের কথা বললে নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকেন বলেও মামলায় ওই নারী অভিযোগ করেন।
তবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক দাবি করেন, মসজিদের ইমামের মাধ্যমে ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী ওই নারীর সঙ্গে পুলিশ কনস্টেবল নয়নের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের কাবিন বা রেজিস্ট্রি করা হয়নি। যার কারণে ওই নারী নয়নকে রেজিস্ট্রি ও কাবিন করতে চাপ প্রয়োগ করে আসলেও নয়ন কালক্ষেণ করায় তিনি মামলার আশ্রয় নেন। তিনি জানান, বাদীর সঙ্গে কথা বলে এবং তদন্ত করে এই বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়ে পুলিশ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক পুলিশ তাকে অপরাধী হিসেবেই দেখবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পুলিশের কেউ অপরাধ করলে তাকেও ছাড় দেব না।
0 মন্তব্য