সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেট বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে মৃত্যুবরণকারী রায়হান আহমদ হত্যা মমলায় বরখাস্তকৃত দুই পুলিশ সদস্যকে ৫ ও ৩ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বন্দর বাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যাহারকৃত ওই ফাঁড়ির এএসআই আশেক এলাহীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একইসঙ্গে এই মামলায় ২৪ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়া সাময়িক বহিস্কৃত পুলিশ কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে ২য় দফায় ৩ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় এ দু’জনকে আদালতে হাজির করে পিবিআই।
পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে কনস্টেবল হারুনুর রশীদকেও বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে তোলা হয়। আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় তার আরও ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার রাতে পুলিশ লাইন্স থেকে সাময়িক বহিস্কৃত আশেক-ই এলাহিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তবে এখনও প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর হোসেন পলাতক রয়েছে। আর সন্দেহভাজন অন্য পুলিশ সদস্যরা পুলিশ লাইন্সে হেফাজতে আছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই।
0 মন্তব্য