আমাদের প্রতিবেদক :
আসন্ন ফরিদপুর সদর পৌরসভার নির্বাচন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন হিসেবে উন্নতিকরণ প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের সংশ্নিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী মোসাদ্দেক বিল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ রাসেল চৌধুরী।
দীর্ঘ ৯ বছর পর গত ৩ নভেম্বর ফরিদপুর সদর পৌরসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়।
ফরিদপুর পৌরসভার নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৌরসভার বর্ধিত এলাকার ভোটার মো. আতিয়ার রহমান গত ১৫ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার আদালত এ আদেশ দেন।
আদেশের পর ব্যারিষ্টার কাজল সাংবাদিকদের জানান, একটি পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করতে যা যা করা দরকার, প্রশাসন তার সবই করেছে। এমনকি গত বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি (নিকার) ১১৬তম সভার প্রধান আলোচ্য সুচি ছিল ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করা। ওই সভায় বিদ্যমান ফরিদপুর পৌরসভা এবং সম্প্রসারিত এলাকা নিয়ে ফরিদপুর সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। তা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন গত নভেম্বর ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে। তাই নির্বাচন কমিশনের সে তফসিল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে পৌরসভার নির্বাচন স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারির আরজি জানানো হয়।
0 মন্তব্য